Khotna

Khotna
device circumcision

হিট স্ট্রোক কি? কেন হিট স্ট্রোক হয়? হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কি? হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায় কি? হিট স্ট্রোক থেকে সুস্থ হতে কতদিন লাগে?

 

হিট স্ট্রোক
হিট স্ট্রোক

হিট স্ট্রোক কি?


এটি 104 ডিগ্রি ফারেনহাইট (40 ডিগ্রি সেলসিয়াস) এর উপরে শরীরের তাপমাত্রা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। হিটস্ট্রোক, যাকে সানস্ট্রোকও বলা হয়, হাইপারথার্মিয়া বা তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতার সবচেয়ে গুরুতর রূপ। হিটস্ট্রোকে মস্তিষ্কের ক্ষতি, অঙ্গ ব্যর্থতা বা মৃত্যু হতে পারে।


কেন হিট স্ট্রোক হয়?


হিট স্ট্রোক এক ধরনের হাইপারথার্মিয়া। হাইপার হচ্ছে অধিক মাত্রা, আর থার্মিয়া মানে তাপ। শরীরে অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকেই বলা হয় হিট স্ট্রোক। 

আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু একটানা রোদে থাকলে গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। 

শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয়। ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে শরীরকে করে তোলে অবসন্ন ও পরিশ্রান্ত। 

এতে মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন অনেকেই। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাচ্চা, বয়স্ক ও যারা ওবেসিটিতে ভুগছে তারা হিট স্ট্রোকে সহজেই আক্রান্ত হয়।

device cosmetic circumcision
ডিভাইস কসমেটিক খৎনার বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হচ্ছে

  • শরীর প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করে আবার হঠাৎ করে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়
  • নিঃশ্বাস দ্রুত হয়
  • নাড়ির অস্বাভাবিক স্পন্দন হওয়া অর্থাৎ হঠাৎ ক্ষীণ ও দ্রুত হয়
  • রক্তচাপ কমে যায়
  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়
  • হাত পা কাঁপা, শরীরে খিঁচুনি হয়
  • মাথা ঝিমঝিম করা
  • তীব্র মাথাব্যথা
  • ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার প্রকাশ
  • কথা-বার্তায় অসংলগ্ন হওয়া।

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায় কি?


বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহের কারণে তীব্র গরম চলছে। আরও কয়েকদিন দেশে তীব্র গরম থাকবে জানিয়ে সোমবার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় গরমের তাপমাত্রা এর মধ্যেই রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের অনেক স্থানে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, এরকম তীব্র গরমের সময় সতর্ক না থাকলে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।


ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা এবিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে:

  • কারা নিজেদের ঠান্ডা রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখুন, বিশেষ করে বয়স্ক লোকজন যাদের নানা ধরনের স্বাস্থ্য-জনিত সমস্যা রয়েছে এবং যারা একা থাকেন।

  • ঘরের ভেতরে অবস্থান করুন। যেসব জানালা সূর্যের দিকে মুখে করে আছে সেগুলোর পর্দা টেনে দিন।

  • প্রচুর পানীয় পান করুন।

  • কাউকে বিশেষ করে শিশুদেরকে কোনো ঘরে বা গাড়িতে একা রেখে যাবেন না।

  • বেলা ১১টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত নিজেকে সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখুন। এই সময়ে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে তীব্র হয়।

  • ছায়ার মধ্যে আশ্রয় নিন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

  • মাথায় লম্বা বারান্দা-ওয়ালা টুপি পরুন।

  • দিনের সবচেয়ে গরম সময়ে শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা পরিহার করুন।

  • কোথাও গেলে সঙ্গে করে পানি নিয়ে যাবেন।

  • কোথাও পুকুর বা খাল বিল দেখলেই নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য সেখানে নেমে পড়বেন না, কারণে তাতে আরো অনেক বেশি বিপদ হতে পারে যা হয়তো আপাতত চোখে পড়ছে না।

  • রাতের ঘুমানোর সময় ঠান্ডা মোজা পরতে পারেন, এবং অন্যান্য দিন আপনি যে সময়ে ঘুমান ওই একই সময়ে বিছানায় যাবেন।

হিট স্ট্রোক থেকে সুস্থ হতে কতদিন লাগে?

প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের জন্য হাসপাতালে প্রায় 1-2 দিন সময় লাগে; যদি অঙ্গ ক্ষতি সনাক্ত করা হয়. বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে হিট স্ট্রোক থেকে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিতে এর প্রভাব 2 মাস থেকে এক বছর সময় লাগতে পারে।

ডিভাইস কসমেটিক খৎনা
ডিভাইস কসমেটিক খৎনার বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.