ডিভাইস কসমেটিক খৎনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
ডিভাইস কসমেটিক খৎনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
আসসালামু আলাইকুম!
আজ আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিনিয়ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবো। আশা করি সকলের ডিভাইস কসমেটিক খৎনা নিয়ে মনে যত প্রশ্ন আছে সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন। ইনশাআল্লাহ!
প্রশ্নঃ ডিভাইস কসমেটিক খৎনা কি বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তরঃ ডিভাইস কসমেটিক সুন্নতে খৎনা হলো খতনা/মুসলমানীর জগতে সবথেকে আধুনিক এবং শতভাগ নিরাপদ পদ্ধতি। এই খতনায় কোন সেলাই লাগেনা, ব্যান্ডেজ লাগেনা, রক্তপাত হয় না, প্রতিদিন গোসল করা যায়, পেন্ট পায়জামা পরা যায়, সকল বয়সে করা যায়।
প্রশ্নঃ বাচ্চা কি ব্যথা পাবে?
উত্তরঃ যখন আমরা লোকাল এনেস্থিসিয়া দেই তখন হালকা একটু ব্যথা পাবে। কারন মানুষ হিসেবে সকলেরই অনুভূতি আছে। এখন শরীরে যখন সুই ঢুকবে সেটা ছোট বাবু হোক বা বড় মানুষ হোক। একটু ব্যথা পাবেই। এটা স্বাভাবিক। তা ছাড়া আর কোন ব্যথা নেই।
প্রশ্নঃ খতনা করানোর পর কি থাকতে হয় নাকি সাথে সাথে চলে আসা যায় বাসায়।
উত্তরঃ আলহামদুলিল্লাহ! খতনা করানোর পর সাথে সাথে বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় যেতে পারবেন। কোন ধরনের কোন অসুবিধা নেই। বাচ্চা নিজেই পায়ে হেঁটে যেতে পারবে। আমাদের অনেক সময় এমন অনেক হয়েছে যে বাচ্চা খতনার পর সেন্টারেই খেলাধুলা করেছে।
প্রশ্নঃ বাসায় নেয়ার পর কি করতে হবে? রেস্টের প্রয়োজন আছে?
উত্তরঃ বাসায় নেয়ার পর কিছুই করতে হবে না। স্বাভাবিকভাবে আগে বাচ্চা যা করতো তাকে সেটাই করতে দিন। সে মনের আনন্দে খেলাধুলা করতে চাই তাকে সেটাই করতে দিন। কোন রেস্টের দরকার নেই।
আপনাদের শুধু একটাই কাজ, তাকে নিয়মিত ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশনের ঔষধ গুলো সঠিক সময়ে খাওয়াবেন।
প্রশ্নঃ শুকাতে কত দিন সময় লাগে?
উত্তরঃ আলহামদুলিল্লাহ! ডিভাইস কসমেটিক খৎনায় ঘা খুব দ্রুত শুকায়। সম্পূর্ণ ঘা রিকোভার (আগের মত ঠিক) হতে ২১ দিন সময় লাগে। যে কোন কাটাই ২১ দিনে রিকোভার হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ আমার বাচ্চা অনেক চঞ্চল তাঁকে কি ডিভাইস খতনা করানো যাবে?
উত্তরঃ জ্বী! তাঁর জন্য ডিভাইস খৎনা সর্বোত্তম উপায়। কারণ ডিভাইস খতনায় বাচ্চা খতনার আগে যেমন সুস্থ থাকে খতনার পরেও একই রকম থাকে। দেখে বুঝার উপায় নেই খতনা করানো হয়েছে কিনা। ডিভাইস লাগানো অবস্থায় সে সব কিছুই করতে পারবে।
প্রশ্নঃ আপনারা কি বাসায় এসে খতনা করান?
উত্তরঃ জ্বী না! আমাদের হোম সার্ভিস নেই। আমাদের উত্তম সেবা আমাদের সেন্টারে এসে নিতে হয়।
প্রশ্নঃ কত বছর বয়সে খৎনা করানো ভালো?
উত্তরঃ এটার নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। তবে ছোট সময় করানো ভালো।
প্রশ্নঃ কোন খতনা পদ্ধতি ভালো?
উত্তরঃ আমরা আপনাকে বলবো অবশ্যই আপনারা আদরের সন্তানের খৎনা ডাক্তার দিয়ে করাবেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৩ ধরনের খতনা পদ্ধতি চালু আছে।
১. হাজামের পদ্ধতি।
২. সেলাই ব্যান্ডেজের পদ্ধতি।
৩. আধুনিক ডিভাইস কসমেটিক (স্টেপলার সহ সকল ডিভাইস পদ্ধতি)
আপনি কোনটা করাবেন?
নিচের ২ টা থেকে যেকোন একটা বেছে নিতে পারেন।
ডিভাইস কসমেটিক খৎনা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন |
কারণ হাজাম গন একই কাঠি এবং কাঁচি একাধিক জনকে ব্যবহার করেন। যার ফলে ইনফেকশন সহ নানান ছোঁয়াচে রোগ জীবাণু হয়ে থাকে। সবচেয়ে বয় সমস্যা যেটি হয় তা হলো ওনারা সঠিক পরিমাপে কাটাতে পারেন না। হয় কম কাটা হয় স্কিন না হয় বেশি কাটা হয়। এখন কম কাটলেও ভবিষ্যতে সমস্যা হয় বেশি কাটলেও ভবিষ্যতে সমস্যা হয়।
আমাদের সেন্টারে অনেক রিভিশন খৎনা / ২য় বার খতনা করানো হয়েছে। যাদের সকলের ছোট বেলায় হাজামের মাধ্যমে খতনা করানো হয়েছিলো। কিন্তু সঠিক পরিমাপে স্কিন না কাটার ফলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্কিন বড় হয়ে সামনের দিকে এসে গ্লেন্স পেনিস ঢেকে যায়। যার ফলে ২য় বার খতনার প্রয়োজন হয়।
এখনো প্রায় ৫০+ বড়দের সিরিয়াল নেয়া আছে যাদের সকলের ছোট সময় হাজামের দ্বারা খতনা করানো হয়েছিল। এখন আবার খৎনা করাতে হবে।
তাই ২ বার করার চেয়ে একবারই ডিভাইস কসমেটিক খৎনা করিয়ে নিন।
এখন আসি সেলাই ব্যান্ডেজের পদ্ধতিতে। এটা খুবই ভালো পদ্ধতি। কিন্তু এটাতে একটা সমস্যা হয় সেটা হলো ২ সেলাইয়ের মাঝের জায়গা টুকুর স্কিন ঝুলে যায়। ফিনিশিং আউটলুক শতভাগ সুন্দর হয় না।
কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে, আলহামদুলিল্লাহ! ডিভাইস খৎনায় আউটলুক শতভাগ কসমেটিক। খুব সুন্দর লাগে দেখতে। কাটার দাগও থাকে। আউটলুক দেখতে কেমন হয় সেটা দেখতে আমাদের ইউটিউবে ভিজিট করুন ভিডিও আপলোড করা আছে।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার কোনটা করাবেন।
প্রশ্নঃ আপনারা কি পুরো শরীর অবস করেন?
উত্তরঃ জ্বী না! আমরা শুধু মাত্র পেনিসের জায়গা টুকু লোকাল এনেস্থিসিয়ার মাধ্যমে অবস করি। যেটা কিছুক্ষণ পরেই অবস কেটে যায়।
প্রশ্নঃ আপনাদের হাদিয়া একটু বেশি।
উত্তরঃ আমাদের হাদিয়া বেশি এটা ভুল ধারনা। আপনি আপনার আশে পাশের হাসপাতালে সেলাই ব্যান্ডেজের মাধ্যমে যে খতনা ঐটা করাতে কত নেয় সেটার খুঁজ নিবেন তাহলে একটা ধারনা হবে।
এটি একটি ইউরোপীয় দেশ তুরস্কের আবিষ্কৃত ডিভাইস। এটা ইমপোর্ট করতে হয়। বর্তমানে ডলার রেট বেশি এবং ডিভাইসের দামও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুন। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার নতুন বাজেট পাশ করার পর ইমপোর্ট সহ আনুষাঙ্গিক সকল খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তাই হাদিয়া একটু আপনাদের কারো কারো কাছে বেশি মনে হচ্ছে।
কিন্তু আমরা অল্প লাভে এই উত্তম সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
আশা করি আজকের এই প্রশ্নউত্তর পর্বের মাধ্যমে আপনারা সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আমরা কিভাবে খৎনা করাই এবং আমাদের খতনার রিভিউ কেমন তা দেখতে ইউটিউবে ভিজিট করুন।
খতনার সিরিয়াল দিতে কল করুনঃ 01571-483370, 01734-948269
কোন মন্তব্য নেই